হৃদরোগ বলতে বুঝায় দেহের রক্ত সংবহনতন্ত্রের রোগ। অর্থাৎ হৃদপিন্ড, ধমনী, শিরা ও কৈশিক জালিকার রোগ হচ্ছে হৃদ রোগ। পৃথিবীতে যে সব রোগে মানুষ বেশি মারা যায় তার অন্যতম হচ্ছে হৃদরোগ। আমাদের দেশেও বাড়ছে হৃদরোগীর সংখ্যা। এর অন্যতম প্রধান কারন হচ্ছে আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন।
হৃদরোগ-Sasthokotha |
হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য আমাদের এই বিষয়ে সঠিক জ্ঞান ও ভালোভাবে জানা জরুরি।
বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগঃ
#কনজেনিটাল বা জন্মগত হৃদরোগ
# করোনারী হৃদরোগ
#কার্ডিও মায়োপ্যাথি
#উচ্চ রক্তচাপ
#হার্ট ফেইওলিউর
হৃদরোগের ঝুঁকির কারনঃ
★ বয়সঃ
পুরুষের ৪৫ বছরের বেশি ও মহিলাদের ৫৫ বছরের বেশি বয়সে হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয়।
★লিংগঃ
সাধারণত মহিলাদের চেয়ে পুরুষের বেশি হৃদরোগের ঝুকি রয়েছে।
★মানসিক চাপঃ
যারা দুঃশ্চিন্তা করেন ও মানসিক চাপে থাকেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক। কারন দুঃশ্চিন্তা এমন কিছু হরমোন নিঃসরণ ঘটায় যা হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক কার্যকলাপ ব্যহত করে। পালপিটেশন (বুক ধড়পড় করা) সহ নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করে।
★উচ্চ রক্তচাপঃ
উচ্চ রক্তচাপ হৃদপিন্ডের অনেক ক্ষতি করে। অনেক দিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ হৃদপিন্ডের প্রকষ্ঠ এট্রিয়াম ও ভেন্ট্রিকলের রোগ তৈরি করে। উচ্চ রক্ত চাপের ফলে ব্রেইনের রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে স্ট্রোকের ঝুকি তৈরি করতে পারে।
★রক্তের উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরলঃ
যাদের রক্তে কলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তাদের রক্ত সংবহনতন্ত্রের রোগ হওয়ার ঝুকি অনেক বেশি। কোলেস্টেরল রক্ত নালীতে জমে হার্ট এটাক, স্ট্রোক, পেরিফেরাল ভাস্কুলার ডিজিজ নামক পায়ের রক্ত নালীর রোগ তৈরি করতে পারে।
★ফ্যামিলি হিস্ট্রিঃ
যাদের পরিবারের কোন সদস্যের কম বয়সে হৃদ রোগের ইতিহাস আছে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেশি।
★অলস জীবন যাপনঃ
বর্তমানে নগরায়ন ও যান্ত্রিক জীবন যাপনের ফলে সবার কায়িক শ্রম করার প্রবন্তা কমে গিয়েছে। যার ফলে শরীরে চর্বির পরিমাম বাড়ছে। যা হৃদপিণ্ডের রক্তনালিতে জমা হয়ে করোনারী হৃদরোগ তৈরি করছে।
★ডায়াবেটিসঃ
ডায়াবেটিস হৃদরোগের ঝুকি অনেক বাড়িয়ে দেয়।
★অবেসিটি বা অধিক দৈহিক ওজনঃ
অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগের বড় একটি কারন।
★ধুমপানঃ
ধুমপান হৃদরোগের ঝুকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়।
হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায়ঃ
হৃদরোগের সব রিস্ক ফেক্টরকে আমরা প্রতিরোধ করতে পারবনা। যেমনঃ বয়স,লিংগ, ফ্যামিলি হিস্ট্রি।
কিন্তু অধিকাংশ রিস্ক ফেক্টর থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারি। যার ফলে আমরা লাইফ স্টাইল মডিফাই করার মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যায়।
এর জন্য নিচের স্বাস্থ্য বিধি গুলো খুব ভালোভাবে মেনে চলাতে হবেঃ
★অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করা যাবেনা। নিয়মিত শারিরীক পরিশ্রম করতে হবে। যেমনঃ নিয়মিত হাটা।
★খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। তেল চর্বি যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। লাল মাংস পুরোপুরি পরিহার করুন। নিয়মিয় শাক-সবজি বেশি খেতে হবে।
★দুঃশ্চিন্তা ও মানসিক চাপমুক্ত জীবন যাপন করতে হবে।
★উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এর জন্য নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
★ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
★অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলুন।
★ধুমপান ও এলকোহল থেকে দূরে থাকুন।
এই স্বাস্থ্য বিধিগুলো মেনে আমরা হৃদরোগ প্রতিরোধে করতে পারি।
হার্ট এটাক সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগঃ
#কনজেনিটাল বা জন্মগত হৃদরোগ
# করোনারী হৃদরোগ
#কার্ডিও মায়োপ্যাথি
#উচ্চ রক্তচাপ
#হার্ট ফেইওলিউর
হৃদরোগের ঝুঁকির কারনঃ
★ বয়সঃ
পুরুষের ৪৫ বছরের বেশি ও মহিলাদের ৫৫ বছরের বেশি বয়সে হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয়।
★লিংগঃ
সাধারণত মহিলাদের চেয়ে পুরুষের বেশি হৃদরোগের ঝুকি রয়েছে।
★মানসিক চাপঃ
যারা দুঃশ্চিন্তা করেন ও মানসিক চাপে থাকেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক। কারন দুঃশ্চিন্তা এমন কিছু হরমোন নিঃসরণ ঘটায় যা হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক কার্যকলাপ ব্যহত করে। পালপিটেশন (বুক ধড়পড় করা) সহ নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করে।
★উচ্চ রক্তচাপঃ
উচ্চ রক্তচাপ হৃদপিন্ডের অনেক ক্ষতি করে। অনেক দিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ হৃদপিন্ডের প্রকষ্ঠ এট্রিয়াম ও ভেন্ট্রিকলের রোগ তৈরি করে। উচ্চ রক্ত চাপের ফলে ব্রেইনের রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে স্ট্রোকের ঝুকি তৈরি করতে পারে।
★রক্তের উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরলঃ
যাদের রক্তে কলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তাদের রক্ত সংবহনতন্ত্রের রোগ হওয়ার ঝুকি অনেক বেশি। কোলেস্টেরল রক্ত নালীতে জমে হার্ট এটাক, স্ট্রোক, পেরিফেরাল ভাস্কুলার ডিজিজ নামক পায়ের রক্ত নালীর রোগ তৈরি করতে পারে।
★ফ্যামিলি হিস্ট্রিঃ
যাদের পরিবারের কোন সদস্যের কম বয়সে হৃদ রোগের ইতিহাস আছে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেশি।
★অলস জীবন যাপনঃ
বর্তমানে নগরায়ন ও যান্ত্রিক জীবন যাপনের ফলে সবার কায়িক শ্রম করার প্রবন্তা কমে গিয়েছে। যার ফলে শরীরে চর্বির পরিমাম বাড়ছে। যা হৃদপিণ্ডের রক্তনালিতে জমা হয়ে করোনারী হৃদরোগ তৈরি করছে।
★ডায়াবেটিসঃ
ডায়াবেটিস হৃদরোগের ঝুকি অনেক বাড়িয়ে দেয়।
★অবেসিটি বা অধিক দৈহিক ওজনঃ
অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগের বড় একটি কারন।
★ধুমপানঃ
ধুমপান হৃদরোগের ঝুকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়।
হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায়ঃ
হৃদরোগের সব রিস্ক ফেক্টরকে আমরা প্রতিরোধ করতে পারবনা। যেমনঃ বয়স,লিংগ, ফ্যামিলি হিস্ট্রি।
কিন্তু অধিকাংশ রিস্ক ফেক্টর থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারি। যার ফলে আমরা লাইফ স্টাইল মডিফাই করার মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যায়।
এর জন্য নিচের স্বাস্থ্য বিধি গুলো খুব ভালোভাবে মেনে চলাতে হবেঃ
★অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করা যাবেনা। নিয়মিত শারিরীক পরিশ্রম করতে হবে। যেমনঃ নিয়মিত হাটা।
★খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। তেল চর্বি যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। লাল মাংস পুরোপুরি পরিহার করুন। নিয়মিয় শাক-সবজি বেশি খেতে হবে।
★দুঃশ্চিন্তা ও মানসিক চাপমুক্ত জীবন যাপন করতে হবে।
★উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এর জন্য নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
★ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
★অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলুন।
★ধুমপান ও এলকোহল থেকে দূরে থাকুন।
এই স্বাস্থ্য বিধিগুলো মেনে আমরা হৃদরোগ প্রতিরোধে করতে পারি।
হার্ট এটাক সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
0 Comments