দেহের গুরত্বপূর্ণ একটি কার্যকলাপ হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ করা। যাকে মেডিকেল সাইন্সে ইমুউনিটি বলে। এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সচল ও আরো কার্যকরী করে তুলতে স্বাস্থকর ও সুষম খাবারের কোন বিকল্প নাই।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন খাবার গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, মধু, শাক-সবজী ইত্যাদি খাবার আপনার রোগ প্রতিরোধ করার জন্য খুবই জরুরী। প্রোটিনঃ মাছ, মুরগীর মাংস, ডিম, ডাল জাতীয় খাবার থেকে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা পূরন করা যায়। ভিটামিন-সিঃ লেবু,আমলকী, কমলালেবু, পেয়ারা, জাম্বুরা, মাল্টা,আমড়াসহ সব কাচা টক জাতীয় খাবারে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে। ভিটামিন-ডিঃ সামুদ্রিক মাছ ও মাছের তেল, ডিমের কুসুম, গরু কলিজা, চিজে ভিটামিন-ডি রয়েছে যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায়। বিটা ক্যারোটিনঃ গাজর ও মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে বিটা ক্যারটিন। বিটা ক্যারটিন শরীরে ঢুকে ভিটামিন-এ তে পরিনত হয়। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। জিংকঃ বাদাম, আদা, রসুন, দুধ জিংকের চাহিদা পূরন করে। জিংক শ্বেতরক্তকণিকা উৎপাদন করে ও রোগ প্রতিরোধ করে। মসলাঃ আদা, রসুন, দারুচিনি ইমুউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। রসুন প্রাকৃতিক ভাবে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ধ্বংশ করে রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে মধুঃ মধু একটি এন্টিওক্সিডেন সমৃদ্ধ খাবার। যা রো প্রতিরোধের জন্য খুবই উপকারি। কালোজিরাঃ কালোজিরায় নানা ধরনের উপাদান রয়েছে৷ যা দেহের রোগ প্রতিরোধ খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে গ্রিন টিঃ গ্রিন টি এন্টি এক্সিডেন্টে ভরপুর যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে। পানিঃ পরিমান মতো পানি পান করতে হবে। পানি শরীর সতেজ রাখে ও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সবুজ শাক-সবজী ও তাজা ফলমূল খেতে হবে প্রচুর পরিমানে। যাতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ তন্ত্রের জন্য খুব দরকারী।
0 Comments