নিয়মিত হাটার উপকারিতা।

শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চার করা প্রয়োজন। শরীরচর্চার করার জন্য আমরা অনেক ধরনের ব্যয়াম করে থাকি। তার মধ্যে হাটা একটি উৎকৃষ্ট ব্যায়াম।  শরীর ও মন ভালো রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাটা প্রয়োজন।



   
নিয়মিত হাটার অনেক উপকারীতা রয়েছে। কিছু উপকারীতা আলোচনা করা হলোঃ

##দেহের অতিরিক্ত চর্বি  কমায়ঃ

নিয়মিত হাটলে দেহের অতিরিক্ত চর্বি পুড়ে শক্তি উৎপন্ন হয়। ফলে কমে দেহের ক্ষতিকর মেদ। ক্ষতিকর মেদ কমায়  কমে যায় দেহের অতিরিক্ত ওজন।
তাই ওজন কমাতে হাটার বিকল্প নাই।   
  
## স্ট্রোক ও হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমায়ঃ

আমদের শরীরের দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। এইগুলো হচ্ছে-  LDL ও HDL.। LDL দেহের জন্য ক্ষতিকর। এটি হার্ট ও মস্তিষ্কের রক্তনালিতে জমা হয়ে ব্লক তৈরি করে।  যার ফলে স্ট্রোক ও হার্ট এটাক হয়।

নিয়মিত হাটলে শরীরের LDL কোলেস্টেরল কমে আর HDL কোলেস্টেরল বাড়ে।
তাই হার্ট এটাক ও স্ট্রোকের ঝুকি কমাতে নিয়মিত হাটতে হবে।

## ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ

ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত  হাটা খুব প্রয়োজন। নিয়মিত হাটলে রক্তের  গ্লুকোজ কমে।ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

এই ছাড়া নিয়মিত হাটলে ইনসুলিন নিঃসরণের হার বাড়ে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে।
 তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনাকে হাটতে হবে।    

## হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায়ঃ

হাটলে হৃদস্পন্দন ও শ্বাসপ্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়। ফলে হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। তাই হৃদপিন্ড ও ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ে এবং ভালো থাকে।

## স্মরণ শক্তি বাড়ায়ঃ

হাটার ফলে মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বাড়ে। এর ফলে স্মরণ শক্তি বাড়ে ও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে।

##হাড় ও জয়েন্ট ভালো রাখেঃ

নিয়মিত হাটার ফলে জয়েন্ট ভালো থাকে। হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে। ফলে অস্টিওপরোসিস নামক রোগ প্রতিরোধ হয়।
তাই হাড় ও জয়েন্ট ভালো রাখতে নিয়মিত হাটবেন।

##দেহের পেশীর শক্তি বাড়ায়ঃ  

হাটার ফলে পুরো শরীরে রক্ত সঞ্চালনের হার বাড়ে। ফলে মাংস পেশীতেও রক্ত প্রবাহের হার বাড়ে। তাই পেশী শক্তি বেড়ে যায়। দেহের কর্মক্ষমতা বাড়ে।

##মন ভালো রাখেঃ

নিয়মিত হাটলে মন ভালো থাকে। হাটার ফলে কিছু হরমোন ক্ষরিত হয়। যেমনঃ সেরেটোনিন, ডোপামিন।  এই হরমোনগুলো মন ভালো রাখে ও মনে প্রশান্তি আনে।
তাই মন ভালো রাখতে হাটতে হবে। আর মন ভালো থাকলে ভালো থাকবে দেহ।                 

হাটার উপকারতা অনেক। প্রতিদিন যে কোন সময়ে হটতে পারেন। তবে সকালের স্নিগ্ধ পরিবেশে হাটলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। একেবারে খালিপেটে অথবা একেবারে ভরা পেটে হাটা উচিত নয়। হাটার আগে ও পরে পানি পান করুন।      

Post a Comment

0 Comments